ফুসফুসের ক্যানসারের অন্যতম প্রধান কারণ কিন্তু ধূমপান। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এক অস্বস্তিকর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে - অনেক মহিলার শরীরে ধরা পড়ছে ফুসফুসের ক্যানসার, অথচ তাঁরা জীবনে একটাও সিগারেট খাননি, ধূমপান করেননি।
এরকম একটি সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করলেন HCG ক্যানসার সেন্টার, ইন্দোর-এর সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ডাঃ নয়ন গুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘বিশেষ করে যাঁরা দিনে কয়েক ঘণ্টা রান্নাঘরে কাটান, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।’
কোন ৫ কারণ বাড়াচ্ছে এই ক্যানসারের সম্ভাবনা?
১) রান্নাঘরে হাওয়া চলাচল না হওয়া
গ্রামের দিকে বা মফস্বলের কিছু অঞ্চলে এখনও কাঠ, কয়লা বা বায়োমাস দিয়ে রান্না হয়। সেইসময় তৈরি হয় বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া।
যদি রান্নাঘরে জানলা না থাকে, বা এক্সহস্ট সিস্টেম না থাকে, তাহলে ওই ধোঁয়া সরাসরি ফুসফুসে ঢুকে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষাক্ত কণাগুলি শ্বাস নেওয়ার ফলে ধীরে ধীরে ফুসফুসের কোশে পরিবর্তন হয়, যা ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।
২) অ্যাডেনোকার্সিনোমা: ধূমপান না করলেও হতে পারে
ফুসফুসের বাইরের দিকে জন্ম নেয় এই ক্যানসার। এর প্রধান সমস্যা হল, প্রাথমিকভাবে কোনও উপসর্গ বোঝা যায় না। সাধারণত ধূমপান করেন না, এমন মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
৩) হরমোন ও পরিবেশ দূষণের মিলিত প্রভাব
ইস্ট্রোজেন হরমোন ও বায়ুদূষণ একসঙ্গে কোশের জিনে মিউটেশন ঘটায়। ফলে কোশের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ক্যানসার হবার সম্ভাবনা বাড়ে।
৪) কিছু জিনগত মিউটেশন
যেমন EGFR জিন মিউটেশন, যা ধূমপান না করলেও মহিলাদের ফুসফুস ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ায়। এই ধরনের মিউটেশন ফুসফুসকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে রান্নার ধোঁয়ার মতো পরিবেশ দূষণের প্রতি।
৫) রান্নার ধোঁয়া ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে
দিনে ২-৩ বার রান্না করার ফলে ফুসফুসে ক্রমাগত প্রদাহ তৈরি হয়। এতে কোশের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়।
ডাঃ গুপ্ত বলছেন, “প্রতিদিন রান্না করেন এমন মহিলাদের মধ্যে যাঁরা দিনে দু'বারের বেশি রান্না করেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় তিন গুণ বেশি। সুস্থ থাকতে চাইলে প্রথম পদক্ষেপ রান্নাঘরে উপযুক্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা। এক্সহস্ট ফ্যান, খোলা জানলা, বা চিমনি অত্যন্ত জরুরি।”
কী করা যায় প্রতিরোধে?
• রান্নার সময় জানলা খোলা রাখা
• চিমনি বা এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করা
• কঠিন জ্বালানির পরিবর্তে গ্যাস বা ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার
• বছরে অন্তত একবার ফুসফুসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
• দীর্ঘমেয়াদি কাশি বা নিঃশ্বাসে কষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া
এরকম একটি সম্ভাবনা সম্পর্কে সতর্ক করলেন HCG ক্যানসার সেন্টার, ইন্দোর-এর সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ডাঃ নয়ন গুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘বিশেষ করে যাঁরা দিনে কয়েক ঘণ্টা রান্নাঘরে কাটান, তাঁদের মধ্যে এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।’
কোন ৫ কারণ বাড়াচ্ছে এই ক্যানসারের সম্ভাবনা?
১) রান্নাঘরে হাওয়া চলাচল না হওয়া
গ্রামের দিকে বা মফস্বলের কিছু অঞ্চলে এখনও কাঠ, কয়লা বা বায়োমাস দিয়ে রান্না হয়। সেইসময় তৈরি হয় বিষাক্ত গ্যাস ও ধোঁয়া।
যদি রান্নাঘরে জানলা না থাকে, বা এক্সহস্ট সিস্টেম না থাকে, তাহলে ওই ধোঁয়া সরাসরি ফুসফুসে ঢুকে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে এই বিষাক্ত কণাগুলি শ্বাস নেওয়ার ফলে ধীরে ধীরে ফুসফুসের কোশে পরিবর্তন হয়, যা ক্যানসারে পরিণত হতে পারে।
২) অ্যাডেনোকার্সিনোমা: ধূমপান না করলেও হতে পারে
ফুসফুসের বাইরের দিকে জন্ম নেয় এই ক্যানসার। এর প্রধান সমস্যা হল, প্রাথমিকভাবে কোনও উপসর্গ বোঝা যায় না। সাধারণত ধূমপান করেন না, এমন মহিলাদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।
৩) হরমোন ও পরিবেশ দূষণের মিলিত প্রভাব
ইস্ট্রোজেন হরমোন ও বায়ুদূষণ একসঙ্গে কোশের জিনে মিউটেশন ঘটায়। ফলে কোশের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি বা ক্যানসার হবার সম্ভাবনা বাড়ে।
৪) কিছু জিনগত মিউটেশন
যেমন EGFR জিন মিউটেশন, যা ধূমপান না করলেও মহিলাদের ফুসফুস ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ায়। এই ধরনের মিউটেশন ফুসফুসকে আরও সংবেদনশীল করে তোলে রান্নার ধোঁয়ার মতো পরিবেশ দূষণের প্রতি।
৫) রান্নার ধোঁয়া ফুসফুসে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি করে
দিনে ২-৩ বার রান্না করার ফলে ফুসফুসে ক্রমাগত প্রদাহ তৈরি হয়। এতে কোশের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়ে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি তিন গুণ বেড়ে যায়।
ডাঃ গুপ্ত বলছেন, “প্রতিদিন রান্না করেন এমন মহিলাদের মধ্যে যাঁরা দিনে দু'বারের বেশি রান্না করেন, তাঁদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় তিন গুণ বেশি। সুস্থ থাকতে চাইলে প্রথম পদক্ষেপ রান্নাঘরে উপযুক্ত বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা। এক্সহস্ট ফ্যান, খোলা জানলা, বা চিমনি অত্যন্ত জরুরি।”
কী করা যায় প্রতিরোধে?
• রান্নার সময় জানলা খোলা রাখা
• চিমনি বা এক্সহস্ট ফ্যান ব্যবহার করা
• কঠিন জ্বালানির পরিবর্তে গ্যাস বা ইলেকট্রিক হিটার ব্যবহার
• বছরে অন্তত একবার ফুসফুসের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো
• দীর্ঘমেয়াদি কাশি বা নিঃশ্বাসে কষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া